November 22, 2024, 3:22 am
দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক/
প্রায় ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামি এম এ রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের মামলাটি পুনরায় সচল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৭ জুন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার মামলাটির কার্যক্রম পুনরায় সচল করেন।
১৭ জুন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার রাশেদের মামলা পুনর্বিবেচনার জন্য তার কাছে আবেদন করার জন্য বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস কে নির্দেশ দেন।
নির্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল সরাসরি রাশেদের নাম উল্লেখ করেননি। আসামির নাম উল্লেখ করার সময় তিনি রাশেদের নামের আদ্যক্ষরগুলো ব্যবহার করেছেন। তবে, নির্দেশের বিবরণ থেকে রাশেদের মামলার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের এই পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক আশ্রয় হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদের বিতাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার উদ্দেশেই ট্রাম্প প্রশাসন ১৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা এই মামলার কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে।
তবে, এ বিষয়ে জানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি দূতাবাস ও মার্কিন বিচার বিভাগের মুখপাত্রদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়। তবে, রাশেদের আইনজীবীরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদ বিতাড়িত হলে তার ফাঁসির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার সফলতার পূর্বাভাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়ায় রাশেদ চৌধুরী আশ্রয় পেতে পারেন না উল্লেখ করে নিজেদের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ওই সময় যুক্তি উত্থাপন করলেও, সেই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে তখন রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে রায় দেয় মার্কিন আদালত।
Leave a Reply